জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে “বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি প্রতিযোগিতা-২০২৩” অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবৃত্তি সংসদের আয়োজনে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ভার্চুয়াল ক্লাস (ভিসি) রুমে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ৬৪ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ২০ জন উত্তীর্ণ হয়। পরে দ্বিতীয় ধাপের প্রতিযোগিতায় ১০ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তাদের মধ্যে যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জান্নাত আরা ও জান্নাতুল ফেরদৌস মুক্তা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুনতাকা রাইসা।
প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির পরিচালক ড. শাহাদাৎ হোসেন নিপু, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের দপ্তর সম্পাদক শিরিন ইসলাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি সংসদের ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা সহকারী অধ্যাপক কামরুল ইসলাম জুয়েল। এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি সংসদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক উপদেষ্টা সহকারী অধ্যাপক কেএম সুজাউদ্দিন।
বাংলা একাডেমির পরিচালক শাহাদাৎ হোসেন নিপু বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি সংসদের কার্যক্রম সত্যিই প্রশংসনীয়। তারা এমন একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে যা অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় না। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এমন আয়োজনে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা জোরদার করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের দপ্তর সম্পাদক শিরিন ইসলাম বলেন, ‘আবৃত্তির মাধ্যমে আমাদের অন্তরের সম্পর্ক সৃষ্টি হচ্ছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে তোমরা এসেছো এটা প্রশংসনীয়। এটা প্রমাণ করে তোমরা আবৃত্তিকে ভালোবাসা। আবৃত্তিকারকে আবৃত্তির মাধ্যমে প্রতিটি শব্দকে চোখের সামনে দেখতে হবে। যখন একজন আবৃত্তিকার শব্দটি দেখতে পাবে তখন দর্শকরাও তা দেখতে পাবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি সংসদের সভাপতি বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন খাঁটি বাঙালির জীবনাচরণ ও বাঙালির হাজার বছরের পুরানো সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও সুকৃত্তিকে ধারণ করে তিনি নিজ অন্তরে স্থাপন করেছিলেন। কালে কালে তিনি শিল্প, সাহিত্য, দেশীয় সংস্কৃতিতে ঋদ্ধ এক পরিপূর্ণ বাঙালি যুবক হিসেবে বর্ধিত হন। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমি বাঙালি, বাংলা আমার দেশ, বাংলা আমার সংস্কৃতি। ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতির সমৃদ্ধি ছাড়া কোনো জাতিই উন্নতি করতে পারে না। আমি বিশ্বাস করি যে, জনগণই সব সাহিত্য ও শিল্পের উৎস।বঙ্গবন্ধুর এই শিল্প-সাংস্কৃতিক ভাবনাকে ত্বরান্বিত করতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি সংসদের ক্ষুদ্র প্রয়াস, বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি প্রতিযোগিতা। আবৃত্তি এমন একটি মাধ্যম যা আমাদের ভাষার সৌন্দর্য, সাহিত্যিক দক্ষতা এবং নিজেদের সাবলীলভাবে প্রকাশের সুযোগ করে দেয়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি সংসদের উপদেষ্টা কামরুল ইসলাম জুয়েলের সভাপতিত্বে ও আবৃত্তি সংসদের সাধারণ সম্পাদক মো. রিয়াজুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন বিভাগের আবৃত্তিপ্রেমী শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ‘উচ্চারণে খুলি মগজের দুয়ার’ স্লোগানকে ধারণ করে ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি সংসদ। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংগঠনটি শুদ্ধ উচ্চারণ, আবৃত্তি ও উপস্থাপনা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন সময় উচ্চারণ, আবৃত্তি ও উপস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালার ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।